একটা সময় ছিলো যখন একটা নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার সবসময়ই কল লিস্টের প্রথমেই থাকতো। নাম্বারটা খুঁজতে কন্টাক্ট লিস্টে বা ফোন বুকে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। সেই একই নাম্বার একটা সময় চলে যায় yesterday তে। তারপর চলে যায় আরো পেছনের তারিখে। এভাবে একটা সময় আর ডায়াল, রিসিভ বা মিস কল লিস্টেও নাম্বারটা থাকে না। নাম্বার টা কন্টাক্ট বা ফোন বুকে ঘুমিয়ে থাকে।
তারপর একটা সময় স্মৃতি তে ধুলো জমে...ঝাপসা হয়ে যায় সব অতীত। তারও অনেক পরে একটা সময় আসে যখন দেখা যায় সেই নাম্বারটা খুঁজেই পাওয়া যায় না, যে নাম্বারটা এত ভালো করে মুখস্ত ছিলো, সেই নাম্বারটার শেষের বা মাঝের কোনো সংখ্যা মনেই পড়ে না!!
কোন এক গভীর রাতে হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়, নির্জন ছাঁদে দাড়িয়ে থাকি একা। মাথার উপরে পূর্ণিমারচাঁদ। শিশিরসিক্ত দূর্বা ঘাসের উপরে ঝরে পরে শিউলি ফুল। তখন বুকের মধ্যে হঠাৎ মোচড় দিয়ে উঠে, একটা হাহাকার জেগে উঠে। নাম্বারটা যে মানুষটার তার ছবি মনে ভেসে উঠে। হাত বাড়ালেই যাকে ছোঁয়া যেত...চোখ মেললেই যাকে দেখা যেত, সে এখন যোজন যোজন দূরে।
দিনটা ছিল ৮ই জানুয়ারি.. মেয়েটার মনে সারাদিন ধরে প্রচণ্ড উত্তেজনা কারণ আজ তাদের প্রথম দেখা হবে। বিকেলে আবার এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো। মেয়েটা চারটে নাগাদ বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে। রাস্তা পেরিয়ে অটো নিয়ে গেলো স্টেশনে। যেতে যেতে তার হাজারো চিন্তা.. কেমন হবে সে, জীবনে প্রথম যাচ্ছে কোথাও বাড়িতে না জানিয়ে.. বাড়িতে জানলে কি হবে ইত্যাদি। ইতিমধ্যে গল্পের নায়ক হাজির হয়েছেন এবং সিনেমা হলের পাশের গলিতে অপেক্ষারত। মেয়েটা অটো থেকে নেমে দেখে স্টেশন এর রাস্তায় কাজ চলছে। মাটি কেটে পাশে রাখা আর তাতে বৃষ্টি পড়ে চারদিকে কাদাতে ভরা। কাদার মধ্যে সাবধানে পা ফেলে যেতে যেতে মেয়েটা ফোন করলো এবং জানালো যে সে একটি চুরিদারের উপর কমলা রঙের সয়েটার পরে এসেছে। অবশেষে দুজনের দেখা হল। ওরা স্টেশনে গিয়ে বসলো। তারপর মেয়েটা পড়তে গেলো। পড়ার শেষে দেখলো ছেলেটি তার জন্য অপেক্ষা করছে। ওরা এক সঙ্গে পথ হাঁটতে শুরু করলো। ভেবেছিল এই পথ হয়তো কখনো শেষ হবে না। কিন্তু বেশি দিন হলোনা তাদের পথ চলা। পথ আলাদা হল চিরদিনের জন্য কিন্তু কারন অজানা আজও। মেয়েটি অনেক চেষ্টা করেছে জানতে কিন্তু পারেনি। হঠাৎ একদিন অনেক রাতে ছেলেটির ফোন ব্যস্ত পেলো কিন্তু অনেক চেষ্টা করে যখন কথা হল ছেলেটি জানালো সে গান শুনছিল তাই ব্যস্ত বলেছে। মেয়েটি অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে
পারলো না। এর মধ্যে মেয়েটির ফোন নাম্বার ছড়িয়ে পড়তে লাগলো আর লোকেরা সবাই বললো ওই ছেলেটি ফোন নম্বর দিয়েছে তাদের। মেয়েটি দেখলো এভাবে তার জীবন থেমে থাকতে পারে না। তাকে এগোতে হবে। যেহেতু তার কোনো বন্ধু নেই তাই সে মেসে থাকা মেয়ে দের সঙ্গে ভাব জমালো মেসে আড্ডা দিতে যেতো। মন ভাল রাখত র খুব পড়তো। কারণ জানতো পড়ে ভালো রেজাল্ট করলে ছেলে টা খুশি হবে। কিন্তু কদিন হল ছেলেটির একটি বন্ধু জানালো যে ছেলেটি নতুন প্রেম করছে জমিয়ে। আর এসব কথার মাঝে ওই নতুন ছেলেটির সাথে মেয়েটির বন্ধুত্ব হল। এদিকে মেসের এক দিদি মেয়েটির সিম নিয়ে ইউজ করত।মেয়েটি ভালো মনে দিয়ে আসতো কিন্তু একদিন মেয়েটির বান্ধবী বারণ করলো দিদি টিকে সিম দিতে। পরে যদিও কারণ টা জেনে ছিল কিন্তু অনেক বড়ো মাসুল গুনে হয়েছিলো সারাজীবন এর জন্য। চার বছর ধরে অপেক্ষায় থেকে অপবাদ পেয়েছিলো। পুরোপুরি ভাবে শেষ হল একসঙ্গে চলার স্বপ্ন। দুবছর হল প্রেম ও করেছে কিন্তু সেই ছেলেটি তার কাছে এখনও আসে কল্পনায় স্বপ্নে। কেউ যদি স্বপ্নে চলে আসে কিভাবে আটকানো যাবে জানা নেই তার। সে চায়না তার বর্তমান কে ঠকাতে আবার এ ধরণের দিন আর স্মৃতি গুলো কে মুছে ফেলতে পারেন না। ভুলে যাওয়ার কোনো উপায় থাকলে নিশ্চয়ই সে ta ব্যবহার করত কিন্তু এখন সে কি করবে। তার je খুব কষ্ট হয় অসহায় লাগে সে আগের জন এর কাছে কোনো ভাব এই ফিরতে চায়না। কিন্তু মাঝে মাঝেই মন খারাপ করে বসে
পারলো না। এর মধ্যে মেয়েটির ফোন নাম্বার ছড়িয়ে পড়তে লাগলো আর লোকেরা সবাই বললো ওই ছেলেটি ফোন নম্বর দিয়েছে তাদের। মেয়েটি দেখলো এভাবে তার জীবন থেমে থাকতে পারে না। তাকে এগোতে হবে। যেহেতু তার কোনো বন্ধু নেই তাই সে মেসে থাকা মেয়ে দের সঙ্গে ভাব জমালো মেসে আড্ডা দিতে যেতো। মন ভাল রাখত র খুব পড়তো। কারণ জানতো পড়ে ভালো রেজাল্ট করলে ছেলে টা খুশি হবে। কিন্তু কদিন হল ছেলেটির একটি বন্ধু জানালো যে ছেলেটি নতুন প্রেম করছে জমিয়ে। আর এসব কথার মাঝে ওই নতুন ছেলেটির সাথে মেয়েটির বন্ধুত্ব হল। এদিকে মেসের এক দিদি মেয়েটির সিম নিয়ে ইউজ করত।মেয়েটি ভালো মনে দিয়ে আসতো কিন্তু একদিন মেয়েটির বান্ধবী বারণ করলো দিদি টিকে সিম দিতে। পরে যদিও কারণ টা জেনে ছিল কিন্তু অনেক বড়ো মাসুল গুনে হয়েছিলো সারাজীবন এর জন্য। চার বছর ধরে অপেক্ষায় থেকে অপবাদ পেয়েছিলো। পুরোপুরি ভাবে শেষ হল একসঙ্গে চলার স্বপ্ন। দুবছর হল প্রেম ও করেছে কিন্তু সেই ছেলেটি তার কাছে এখনও আসে কল্পনায় স্বপ্নে। কেউ যদি স্বপ্নে চলে আসে কিভাবে আটকানো যাবে জানা নেই তার। সে চায়না তার বর্তমান কে ঠকাতে আবার এ ধরণের দিন আর স্মৃতি গুলো কে মুছে ফেলতে পারেন না। ভুলে যাওয়ার কোনো উপায় থাকলে নিশ্চয়ই সে ta ব্যবহার করত কিন্তু এখন সে কি করবে। তার je খুব কষ্ট হয় অসহায় লাগে সে আগের জন এর কাছে কোনো ভাব এই ফিরতে চায়না। কিন্তু মাঝে মাঝেই মন খারাপ করে বসে
#হয়তো :
।।এক।।
- লাশকাটা ঘরের টেবিলে শোয়ার কোনো অভিজ্ঞতা আছে?
প্রশ্নটা শুনে চমকে পিছনের দিকে ফিরে তাকালাম। দেখি একটা মাঝ বয়সি লোক আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হসপিটালের ওয়ার্ড বয় সম্ভবত।
- আমাকে বলছেন?
- এখানে আপনাকে ছাড়া আর কাউকে তো আমি দেখছি না! আমার মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি আপনি মর্গ দর্শন করবেন।
- কি যা তা বলছেন?
লোকটা খৈনি খাওয়া দাঁত বার করে খিক্ খিক্ করে হাসলো। মনে হলো হারামীটা নিশ্চই সেই Ph.D করা ডোম। কথা শুনে মাথাটা গরম হয়ে গেলো।
তারপর সে হাসি থামিয়ে গম্ভীরভাবে বলল - রাতে এদিকে আসবেন না। আসলে মরতে হবে। আগে যারা এসেছিলো তারাও...। কেউ বাঁচেনা... আপনিও বাঁচবেন না।
লোকটা এভাবে বারণ করে গেলো কেনো? এখানে কি তবে কোনো দু'নম্বরি কাজ হয়? হয়তো আমি হটাৎ এদিকে এসে সব দেখে ফেলবো তাই আগাম সাবধান করে গেলো। না! জানতেই হবে ব্যাপারটা ঠিক কি?
এখন চলে যেতে হবে। এখনো এখানে দাড়িয়ে থাকলে লোকটা আবার আসতে পারে। তার থেকে ভালো আর একটু রাত বাড়লে আবার আসবো।
।।এক।।
- লাশকাটা ঘরের টেবিলে শোয়ার কোনো অভিজ্ঞতা আছে?
প্রশ্নটা শুনে চমকে পিছনের দিকে ফিরে তাকালাম। দেখি একটা মাঝ বয়সি লোক আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হসপিটালের ওয়ার্ড বয় সম্ভবত।
- আমাকে বলছেন?
- এখানে আপনাকে ছাড়া আর কাউকে তো আমি দেখছি না! আমার মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি আপনি মর্গ দর্শন করবেন।
- কি যা তা বলছেন?
লোকটা খৈনি খাওয়া দাঁত বার করে খিক্ খিক্ করে হাসলো। মনে হলো হারামীটা নিশ্চই সেই Ph.D করা ডোম। কথা শুনে মাথাটা গরম হয়ে গেলো।
তারপর সে হাসি থামিয়ে গম্ভীরভাবে বলল - রাতে এদিকে আসবেন না। আসলে মরতে হবে। আগে যারা এসেছিলো তারাও...। কেউ বাঁচেনা... আপনিও বাঁচবেন না।
লোকটা এভাবে বারণ করে গেলো কেনো? এখানে কি তবে কোনো দু'নম্বরি কাজ হয়? হয়তো আমি হটাৎ এদিকে এসে সব দেখে ফেলবো তাই আগাম সাবধান করে গেলো। না! জানতেই হবে ব্যাপারটা ঠিক কি?
এখন চলে যেতে হবে। এখনো এখানে দাড়িয়ে থাকলে লোকটা আবার আসতে পারে। তার থেকে ভালো আর একটু রাত বাড়লে আবার আসবো।
।।দুই।।
আজ সন্ধ্যা থেকেই বাইরে একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। একঘেয়ে বৃষ্টির শব্দ কেমন যেনো গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি থামলেই যেনো অস্বস্তি হচ্ছে। এক রাশ বিষন্নতা ধিরে ধিরে গ্রাস করছে আমাকে।
আমি অপেক্ষা করছি গভীর রাতের। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টিটাও যেনো ধরে এলো। হাতের রেডিয়াম ডায়াল ওয়ালা ঘড়িটায় তখন রাত ঠিক ১২ টা বেজে ৫০ মিনিট। এক টানা ব্যাঙ আর ঝিঁঝির ডাকে কানে তালা লাগার জোগাড়।
১ টা বাজার সাথে সাথে আমি উঠে পড়লাম। পায়ে হাটা পথ থেকে নেমে হালকা ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম মর্গের পিছনের জানালাটার দিকে। জানালার পাশে দাড়িয়ে ভিতরে উঁকি দিলাম। আলো জ্বলছে - উজ্জ্বল হলুদ আলো। সেই আলোর নিচে স্টিলের স্ট্রেচারের উপরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো রয়েছে একটা লাশ।
আজ সন্ধ্যা থেকেই বাইরে একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। একঘেয়ে বৃষ্টির শব্দ কেমন যেনো গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি থামলেই যেনো অস্বস্তি হচ্ছে। এক রাশ বিষন্নতা ধিরে ধিরে গ্রাস করছে আমাকে।
আমি অপেক্ষা করছি গভীর রাতের। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টিটাও যেনো ধরে এলো। হাতের রেডিয়াম ডায়াল ওয়ালা ঘড়িটায় তখন রাত ঠিক ১২ টা বেজে ৫০ মিনিট। এক টানা ব্যাঙ আর ঝিঁঝির ডাকে কানে তালা লাগার জোগাড়।
১ টা বাজার সাথে সাথে আমি উঠে পড়লাম। পায়ে হাটা পথ থেকে নেমে হালকা ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম মর্গের পিছনের জানালাটার দিকে। জানালার পাশে দাড়িয়ে ভিতরে উঁকি দিলাম। আলো জ্বলছে - উজ্জ্বল হলুদ আলো। সেই আলোর নিচে স্টিলের স্ট্রেচারের উপরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো রয়েছে একটা লাশ।
আমার সারা শরীরে যেনো একটা বিদ্যুৎ প্রবাহ খেলে গেলো। শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেলো একটা ঠান্ডা ভয়ের স্রোত। আর সেই সঙ্গে অনুভব করলাম পরিবেশ নিস্তব্ধ। ব্যাঙ আর সেই ঝিঁঝির ডাক আর শোনা যাচ্ছে না। মনের মধ্যে ভয়টা আরো গাঢ় হয়ে উঠতে লাগলো।
।।তিন।।
সেই লোকটা এখন দাড়িয়ে আছে স্ট্রেচারের পাশে। সামনে সারি দিয়ে সাজিয়ে রাখা ঝকঝকে যন্ত্রপাতি গুলোর দিয়ে তাকিয়ে হেসে উঠলো সে। এই অপ্রত্যাশিত হাসির দমকে আমার ঘোর লাগা ভাবটা কিছুটা কেটে গেলো।
বাইরে পায়ের শব্দ হচ্ছে। কেউ এগিয়ে আসছে ঘরটার দিকে। ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ করে দরজাটা খুলে গেলো। এখন একজন ডাক্তার আর দু'জন ঘরের মধ্যে স্ট্রেচারের সামনে। সেই লোকটার হাসিও থেমে গিয়েছে। ঘরে চার জন মানুষ নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে।
সেই লোকটা এখন দাড়িয়ে আছে স্ট্রেচারের পাশে। সামনে সারি দিয়ে সাজিয়ে রাখা ঝকঝকে যন্ত্রপাতি গুলোর দিয়ে তাকিয়ে হেসে উঠলো সে। এই অপ্রত্যাশিত হাসির দমকে আমার ঘোর লাগা ভাবটা কিছুটা কেটে গেলো।
বাইরে পায়ের শব্দ হচ্ছে। কেউ এগিয়ে আসছে ঘরটার দিকে। ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ করে দরজাটা খুলে গেলো। এখন একজন ডাক্তার আর দু'জন ঘরের মধ্যে স্ট্রেচারের সামনে। সেই লোকটার হাসিও থেমে গিয়েছে। ঘরে চার জন মানুষ নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে।
ডাক্তারের নির্দেশে সেই লোকটা লাশের দিকে এগিয়ে গিয়ে একটু একটু করে সরাতে লাগলো লাশের উপরের সাদা চাদর। মানুষ গুলোর দিক থেকে সরে আমার চোখ চলে গেলো লাশের দিকে। আমার দৃষ্টি স্থির হয়ে আটকে গেলো মৃতদেহটার উপরে। যেনো সেখানে গভীর ঘুমে মগ্ন চল্লিশ বছর পরের আমি।
ডাক্তারবাবু রিপোর্ট প্যাড বের করলেন। তার উপরে লেখা -
"Application, Certificate and Order for Reception and Detention of a Person as a Temporary Patient and as a Chargeable Patient in an approved institution in pursuance of section 184 of the Act."
To the person in charge of BONGAON J.R.DHAR SUB DIVISION HOSPITAL.
Date : 28 July 2058
Date : 28 July 2058
"A real lover can't be stolen"
সন্ধ্যা হয়ে আসছে। হাবড়া থেকে বনগাঁগামী একটা ট্রেনে বাড়ি ফিরছি। ট্রেনের ছিট্ খালি থাকলেও আমি খুব একটা বসি না। আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। গেটের সামনে দাড়িয়ে চশমার কাচটা রুমাল দিয়ে পরিষ্কার করছি। ঠিক সেই সময় ট্রেনটা একটা জোর দোলা খেলো। ছিটকে পড়লাম বাইরে। আর কিছু মনে নেই।
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন চারিপাশে ঘন অন্ধকার। উঠে বসার চেষ্টা করলাম, সারা গায়ে তীব্র যন্ত্রণা। অনেক কষ্টে উঠে দাড়ালাম। এখন নিজেকে অনেক হালকা লাগছে। মনে হচ্ছে ওজনটা অনেক কমে গেছে। একটা অন্য রকম ভাললাগায় মনটা ভরে উঠলো। হটাৎ মোবাইলের কথা মনে হতেই ওটাকে চারপাশে খুঁজতে লাগলাম। না, কোথাও নেয়। আর ব্যাগও হাওয়া। হতে পারে কেউ এখানে এসেছিলো, আর ও দু'টো নিজের মনে করে নিয়ে গিয়েছে!
কি আর করা যাবে রেল লাইন ধরে হাটতে শুরু করলাম। সামনে বনগাঁ স্টেশান একেবারে নিশ্চুপ। প্লাটফর্মে ক'য়েকটা কুকুর ইতস্তত শুয়ে ঘুমাচ্ছে। চারিদিকে তাকালাম, কোথাও কেউ নেয়। এতো রাতে তো আর টোটো পাওয়া যাবে না, এখন শ্রীচরন-ই ভরসা।
যখন জ্ঞান ফিরলো তখন চারিপাশে ঘন অন্ধকার। উঠে বসার চেষ্টা করলাম, সারা গায়ে তীব্র যন্ত্রণা। অনেক কষ্টে উঠে দাড়ালাম। এখন নিজেকে অনেক হালকা লাগছে। মনে হচ্ছে ওজনটা অনেক কমে গেছে। একটা অন্য রকম ভাললাগায় মনটা ভরে উঠলো। হটাৎ মোবাইলের কথা মনে হতেই ওটাকে চারপাশে খুঁজতে লাগলাম। না, কোথাও নেয়। আর ব্যাগও হাওয়া। হতে পারে কেউ এখানে এসেছিলো, আর ও দু'টো নিজের মনে করে নিয়ে গিয়েছে!
কি আর করা যাবে রেল লাইন ধরে হাটতে শুরু করলাম। সামনে বনগাঁ স্টেশান একেবারে নিশ্চুপ। প্লাটফর্মে ক'য়েকটা কুকুর ইতস্তত শুয়ে ঘুমাচ্ছে। চারিদিকে তাকালাম, কোথাও কেউ নেয়। এতো রাতে তো আর টোটো পাওয়া যাবে না, এখন শ্রীচরন-ই ভরসা।
জি.আর.পি থানায় গিয়ে একটা ডায়েরি করিয়ে আসতে হবে। যদি মোবাইলের কোনো হিল্লে হয়। হাটতে শুরু করলাম থানার দিকে। থানার সামনে, রাস্তার বাঁদিকে, দাড়িয়ে থাকা একটা গাড়ির নাম্বার প্লেটের দিকে চোখ পড়তেই চমকে উঠলাম। গাড়িটা আমাদের।
থানার বারান্দায় লোকনাথ ঘোষ, Officer-In-Charge -র সঙ্গে বাবা আর দু'জন দাড়িয়ে আছে। তবে কি আমাকে খুঁজতে এসেছে। বিস্ময়াভিভূত হওয়ার কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চমক আরো বাকি ছিলো। এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে।
থানার বারান্দায় লোকনাথ ঘোষ, Officer-In-Charge -র সঙ্গে বাবা আর দু'জন দাড়িয়ে আছে। তবে কি আমাকে খুঁজতে এসেছে। বিস্ময়াভিভূত হওয়ার কিছু নেই, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চমক আরো বাকি ছিলো। এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে।
নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। একটা যান্ত্রিক ধাতব শব্দ যেন মাথাটাকে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে। চোখের সামনে, মেঝেতে পড়ে আছে একটা মৃতদেহ, সাদা চাদরে মোড়া। চাদরের অংশে অংশে লেগে আছে চাপ চাপ রক্ত। অনাবৃত মুখে একরাশ প্রশান্তি। টেবিলের উপরে রাখা ব্যাগের থেকে বেরিয়ে আছে এক টুকরো ফ্যাকাসে গোলাপের ডাল আর ব্যাগের উপরে মোবাইলটা।
আর ঠিক তখনই কেউ পাশথেকে ফিসফিস করে বলে উঠলো, "মরার পরে, সে যে মারা গেছে এটা বুঝতে কারো কারো একটু সময় লাগে। আস্তে আস্তে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন চলো আমার সঙ্গে।"
- কে? তুমি!
- হ্যাঁ! চলো নদীর পাড়টাতে গিয়ে একটু বসি।
আর ঠিক তখনই কেউ পাশথেকে ফিসফিস করে বলে উঠলো, "মরার পরে, সে যে মারা গেছে এটা বুঝতে কারো কারো একটু সময় লাগে। আস্তে আস্তে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন চলো আমার সঙ্গে।"
- কে? তুমি!
- হ্যাঁ! চলো নদীর পাড়টাতে গিয়ে একটু বসি।
No comments:
Post a Comment