আজ ২৫ শে ফেব্রুয়ারি । নতুন বছর, ২০১৭।
আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্ত কোথায় বুঝলাম না।
আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্ত কোথায় বুঝলাম না।
আমি কোথাও গেলে সচরাচর রাজিব, নুর নয়ত ভাগিনারে নিয়ে যাই। কিন্ত আজ একাকা যাচ্ছি তাও ভ্যানে করে, পুরো ভ্যানে একা।
অন্য সময় হলে বসেই যেতাম। আজ আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুইয়ে। গায়ে খেজুর পাতার পাটি জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুরো শরীরটা মোড়ানো পাটিতে। খুব ঠান্ডা লাগছে আজ। মন চাচ্ছে টেনে একটা নিঃশ্বাস নিতে।
অন্য সময় হলে বসেই যেতাম। আজ আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুইয়ে। গায়ে খেজুর পাতার পাটি জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুরো শরীরটা মোড়ানো পাটিতে। খুব ঠান্ডা লাগছে আজ। মন চাচ্ছে টেনে একটা নিঃশ্বাস নিতে।
কিন্ত একি!
নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। কারণ টা কি?
ওহ, আমি তো মারা গিয়েছি।
কাল মধ্যরাতে যখন সবাই ঘুমের ঘরে ব্যাস্ত তখন কি যেন মনে হল।
সারাদিন রুমে বসে থাকতে থাকতে যখন হাপিয়ে উঠেছি। হঠাৎ ভাবলাম যাই একটু নিজের ফেলে আসা স্বৃতিময় জায়গা গুলো দেখে আসি। কেন মনে হল, কিসের টানে কিচ্ছুই বুঝলাম নাহ। মানুষের মন নাকি অদ্ভুত হয়। কখন কি চায় বোঝা যায় না। এই যেমন দুজনের কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচতো না। কিন্ত মনের চাওয়ার পরিবর্তনের জন্য তারা দুজন দু-প্রান্তে এখন।
সারাদিন রুমে বসে থাকতে থাকতে যখন হাপিয়ে উঠেছি। হঠাৎ ভাবলাম যাই একটু নিজের ফেলে আসা স্বৃতিময় জায়গা গুলো দেখে আসি। কেন মনে হল, কিসের টানে কিচ্ছুই বুঝলাম নাহ। মানুষের মন নাকি অদ্ভুত হয়। কখন কি চায় বোঝা যায় না। এই যেমন দুজনের কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচতো না। কিন্ত মনের চাওয়ার পরিবর্তনের জন্য তারা দুজন দু-প্রান্তে এখন।
যাই হোক, মূল ঘটনায় আসি। প্রতিদিনের মত, সেদিনো
খামার মোড় থেকে শাপলা চত্বরের দিকে আনমনে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পিছনে কি যানি বিকট শব্দ হল...........
খামার মোড় থেকে শাপলা চত্বরের দিকে আনমনে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পিছনে কি যানি বিকট শব্দ হল...........
মানুষ জন বলাবলি করছিলো "ইশ, ছেলেটার কি অবস্থা! মাথা তো পুরো ফেটে গেছে,হাত ও থেতলে গেছে!
তারপর আর কিছু মনে নেই। এই যে এখন আবার ইন্দ্রিয় কাজ করছে,তাও সপ্তম ইন্দ্রিয়। এই ইন্দ্রিয় টা শুধু মৃত্যুর পর কাজ করে। তার মানে আমি মারা গেছি। কাল রাতেই।
চলে এসেছি গন্তব্যে। রাজিব আর শাওন আমাক ধরাধরি করে নামালো আমাকে। শুইয়ে রাখলো মাটিতেই।
একি! এটা তো আমাদের মেডিকেল হাসপাতাল। আরে! সামনে তো ওটা মর্গ। তার মানে এখন আমার অটোপসি করা হবে। কেটেকুটে আমার দেহের প্রতিটা ভিসেরা আলাদা করা হবে।
কাউকে তো দেখছি না আশপাশে, নুর, রাজিব, ভাগিনা, কাহার,শাওন, মাহাবুব, ফাল্গুনি, জয়া, আকাশ, নিহার, মউ,সুজন দের খুব মনে পড়ছে। খুব একা লাগছে।
চলে এসেছি গন্তব্যে। রাজিব আর শাওন আমাক ধরাধরি করে নামালো আমাকে। শুইয়ে রাখলো মাটিতেই।
একি! এটা তো আমাদের মেডিকেল হাসপাতাল। আরে! সামনে তো ওটা মর্গ। তার মানে এখন আমার অটোপসি করা হবে। কেটেকুটে আমার দেহের প্রতিটা ভিসেরা আলাদা করা হবে।
কাউকে তো দেখছি না আশপাশে, নুর, রাজিব, ভাগিনা, কাহার,শাওন, মাহাবুব, ফাল্গুনি, জয়া, আকাশ, নিহার, মউ,সুজন দের খুব মনে পড়ছে। খুব একা লাগছে।
এই সময় নুর, রাজিব, সবুজকে খুব দরকার ছিলো। ওরা পাশে থাকলে সাহস বাড়তো। আর সব বন্ধু গুলো। ।
শসীর কথাও খুব মনে পড়ছে। সে কি জানে আমি মারা গেছি? নাহ!!! হয়ত......শুনলে অনেক কান্না করবে
শসীর কথাও খুব মনে পড়ছে। সে কি জানে আমি মারা গেছি? নাহ!!! হয়ত......শুনলে অনেক কান্না করবে
আব্বু কোথায়?রবি, লিমা, পিচ্চিটা ওরা? একবার দেখতে ইচ্ছে করছে।
পাশে কার কন্ঠ শুনছি! ওহ! ডাক্তার। আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অটোপসি টেবিলে। আমার কস্ট হচ্ছে না, সত্যিই হচ্ছে না। যখন নিঃশ্বাস চলত তখনকার কষ্টের থেকে এখনকার কষ্ট অনেক সহজ। ডাক্তার আমার ফাইল পড়ছে, লাশের পরিচয়..............
পাশে কার কন্ঠ শুনছি! ওহ! ডাক্তার। আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, অটোপসি টেবিলে। আমার কস্ট হচ্ছে না, সত্যিই হচ্ছে না। যখন নিঃশ্বাস চলত তখনকার কষ্টের থেকে এখনকার কষ্ট অনেক সহজ। ডাক্তার আমার ফাইল পড়ছে, লাশের পরিচয়..............
রুহুল আমিন, বয়স: ২১।বাসা : ঠাকুরগাও -পীরগঞ্জ
দুজন ডোম কথা বলছে তাদের ভেতর "ছেলেটার কপাল খারাপ। জীবনের শুরুতেই শেষ হয়ে গেল।" আমি ভাবছি সবার কথা। কে কে কাঁদছে? কে ভাবছে আমাকে নিয়ে? কারো দিন কি থেমে থাকছে রুহুলের জন্য? কেউ কি আড্ডায় বসে বলছে "রুহুল কে খুব মিস করছি।"
মাহাবুব রাজিব আর ফাল্গুনি খুব ছুটা ছুটি করছে,,,,,,,,,কিভাবে আমার বডি বাসায় পাঠানো হবে। নুর সবুজকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে। শাওন চুপ চাপ।
মউ, সুজন, মলি, রওসন, জয়া, নিহার, আকাশ এখনো আসে নাই
No comments:
Post a Comment