Friday, April 12, 2019

অনেকটা সময় গত হলো,


উৎসর্গঃ "শশী"কে

__________মোঃরুহুলআমিন


অনেকটা সময় গত হলো, তোমার দেখা নেই, অনেকটা বছর গত হলো, তোমার সাথে কথা নেই!
সেদিন শেষবারের মত যখন তোমার সাথে কথা হলো, খুব অভিমান নিয়ে বলেছিলাম যদি আমার শহরে বিষাদের মেলা বসে, বসুক!
যদি আমার আকাশে রংধনুর রং না ভাসে, তবে না ভাসুক!
তবুও তোমার কাছে ফিরে আসবো না!
কষ্ট আর অভিমান নিয়ে সেদিন না হয় কিছু কথা বলেছিলাম কিন্তু তুমি তো জানতে ও আমার মুখের কথা মনের কথা নয়!
কিন্তু সেদিন তুমি একবারও বলোনি, অবুঝ ভালবাসি!
তুমি তো জানতে তোমার মুখে অবুঝ ডাক শুনলে আমার অভিমানগুলো আর অভিমান থাকে না!
আমার কষ্টগুলো আর কষ্ট থাকে না!
কষ্ট আর অভিমান তখন মুচকি হেসে বলে আমিও ভালবাসি মৃন্ময়ী, খুব বেশি!
হয়তো তুমিও চাইতে সম্পর্কের ইতি ঘটুক, ভালবাসার অবসান হোক!
তাই হবে, নয়তো অবুঝ বলে সেদিন ডাকলে না যে?
ভালবাসি বলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলে না যে?
সম্পর্কের বেলাতো ফুরিয়ে ছিল বহুকাল আগেই, যখন তুমি মিথ্যে অযুহাতে ব্যস্ততার দোহাই দিতে!
ব্যস্ততার গল্প বলে আমায় মিথ্যে আশ্বাস দিতে!
ভয় নেই, আমি কিন্তু বুকে অভিমান পুষে রাখিনি, বেলা-অবেলায় বেইমান বলে গাল দেইনি!
মৃণ্ময়ী, এই যে এতটা সময় গত হলো আমি কিন্তু ঠিকই বেচে আছি, হয়তো রংধনুর আদলে আমার আকাশে বিষাদের চাষ হয়, তবুও তো দিব্যি বেচে আছি, আছি না?
কতগুলো বসন্ত গত হলো তোমার মুখে 'অবুঝ' ডাকটা শুনিনা, গুনে গুনে ১২টা বসন্ত; এক যুগ!
এটা কি কোনো অংশে কম?
কত শখ করে দিয়েছিলে নামটা, মৃণ্ময়ী!
সেবার খুব করে ইচ্ছে হলো তোমার মুখে 'অবুঝ' ডাকটা শুনতে!
মোবাইল রেখে কম্পিউটার সবটা ঘাটলাম, যদি একটা রেকর্ড পাই তোমার!
কেমন যেনো উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম, নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করলাম, শুধু এই বলে, কী দোষো তোমার সবকিছুর ইতি টেনেছিলাম!
এখন মন খারাপের দিনে আমি আকাশ দেখি, পড়ন্ত বিকেলে অস্ত যাওয়া সূর্য দেখি!
মৃন্ময়ী, সেদিন খুব সহজেই দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
বিচ্ছেদটাও,
এখন প্রশ্ন শুধু একটাই
ভিতরের গুমরে মরা শূন্যতাকে
পেরেছি কি আদৌ মুছে ফেলতে?
মাঝেমধ্যে হঠাৎ করেই আমার বুকটা বিষম কেঁপে ওঠে, বুঝতে পারি এ শহরে আমি বড্ড একা, এই শহরটায় আমার আপন বলতে দুকুলে কেঁউ নেই!
মৃণ্ময়ী, তোমারও কি এমনভাবে বুকটা বিষম কেঁপে ওঠে?
সেদিন কোথায় যেনো শুনলাম, এক লেখিকা পুরুষকে মানুষ বলে মনে করে না, পুরুষ নাকি মানুষ না, অন্যকিছু!
আচ্ছা মৃণ্ময়ী, পুরুষ কি মানুষ নয়?
তাদের কী হৃদয় বলতে কিছু থাকে না?
তুমি শুনেছো?
এই যে শহর দেখছ, সভ্যতা দেখছ; তাদের অদ্ভুত
সব নিয়মকানুন!
পুরুষদের নাকি কাঁদতে নেই, চোখের জল ফেলতে নেই!
এই যে আজ আমি আহাজারি করছি, তুমি নিশ্চয় দেখবে পাছে কেউ, আমায় কাপুরুষ বলে ডাকবে!
যাবার বেলায়, সেদিন তুমি বললে "ভালো থেকো"
কিন্তু তুমি তো জানতে, কীসে আমি ভালো থাকি?
আমার ভালো থাকার মাধ্যম টা কী?
আমার ভালো থাকার মাধ্যম টা শুধুই তুমি ছিলে!
"তুমি তেই সীমাবদ্ধ"!
আমি জানি এ ভুল আর কোনদিন ভাঙ্গবে না, তবুও যদি কখনো ভুল ভাঙে তবে ডাক দিও,
আমিও সেদিন রুদ্রের মত বলবো, মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন
ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো
একখানা প্রিয় নাম - ভালোবাসি !!, তোমার দেখা নেই, অনেকটা বছর গত হলো, তোমার সাথে কথা নেই!
সেদিন শেষবারের মত যখন তোমার সাথে কথা হলো, খুব অভিমান নিয়ে বলেছিলাম যদি আমার শহরে বিষাদের মেলা বসে, বসুক!
যদি আমার আকাশে রংধনুর রং না ভাসে, তবে না ভাসুক!
তবুও তোমার কাছে ফিরে আসবো না!
কষ্ট আর অভিমান নিয়ে সেদিন না হয় কিছু কথা বলেছিলাম কিন্তু তুমি তো জানতে ও আমার মুখের কথা মনের কথা নয়!
কিন্তু সেদিন তুমি একবারও বলোনি, অবুঝ ভালবাসি!
তুমি তো জানতে তোমার মুখে অবুঝ ডাক শুনলে আমার অভিমানগুলো আর অভিমান থাকে না!
আমার কষ্টগুলো আর কষ্ট থাকে না!
কষ্ট আর অভিমান তখন মুচকি হেসে বলে আমিও ভালবাসি মৃন্ময়ী, খুব বেশি!
হয়তো তুমিও চাইতে সম্পর্কের ইতি ঘটুক, ভালবাসার অবসান হোক!
তাই হবে, নয়তো অবুঝ বলে সেদিন ডাকলে না যে?
ভালবাসি বলে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলে না যে?
সম্পর্কের বেলাতো ফুরিয়ে ছিল বহুকাল আগেই, যখন তুমি মিথ্যে অযুহাতে ব্যস্ততার দোহাই দিতে!
ব্যস্ততার গল্প বলে আমায় মিথ্যে আশ্বাস দিতে!
ভয় নেই, আমি কিন্তু বুকে অভিমান পুষে রাখিনি, বেলা-অবেলায় বেইমান বলে গাল দেইনি!
মৃণ্ময়ী, এই যে এতটা সময় গত হলো আমি কিন্তু ঠিকই বেচে আছি, হয়তো রংধনুর আদলে আমার আকাশে বিষাদের চাষ হয়, তবুও তো দিব্যি বেচে আছি, আছি না?
কতগুলো বসন্ত গত হলো তোমার মুখে 'অবুঝ' ডাকটা শুনিনা, গুনে গুনে ১২টা বসন্ত; এক যুগ!
এটা কি কোনো অংশে কম?
কত শখ করে দিয়েছিলে নামটা, মৃণ্ময়ী!
সেবার খুব করে ইচ্ছে হলো তোমার মুখে 'অবুঝ' ডাকটা শুনতে!
মোবাইল রেখে কম্পিউটার সবটা ঘাটলাম, যদি একটা রেকর্ড পাই তোমার!
কেমন যেনো উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম, নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করলাম, শুধু এই বলে, কী দোষো তোমার সবকিছুর ইতি টেনেছিলাম!
এখন মন খারাপের দিনে আমি আকাশ দেখি, পড়ন্ত বিকেলে অস্ত যাওয়া সূর্য দেখি!
মৃন্ময়ী, সেদিন খুব সহজেই দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
বিচ্ছেদটাও,
এখন প্রশ্ন শুধু একটাই
ভিতরের গুমরে মরা শূন্যতাকে
পেরেছি কি আদৌ মুছে ফেলতে?
মাঝেমধ্যে হঠাৎ করেই আমার বুকটা বিষম কেঁপে ওঠে, বুঝতে পারি এ শহরে আমি বড্ড একা, এই শহরটায় আমার আপন বলতে দুকুলে কেঁউ নেই!
মৃণ্ময়ী, তোমারও কি এমনভাবে বুকটা বিষম কেঁপে ওঠে?
সেদিন কোথায় যেনো শুনলাম, এক লেখিকা পুরুষকে মানুষ বলে মনে করে না, পুরুষ নাকি মানুষ না, অন্যকিছু!
আচ্ছা মৃণ্ময়ী, পুরুষ কি মানুষ নয়?
তাদের কী হৃদয় বলতে কিছু থাকে না?
তুমি শুনেছো?
এই যে শহর দেখছ, সভ্যতা দেখছ; তাদের অদ্ভুত
সব নিয়মকানুন!
পুরুষদের নাকি কাঁদতে নেই, চোখের জল ফেলতে নেই!
এই যে আজ আমি আহাজারি করছি, তুমি নিশ্চয় দেখবে পাছে কেউ, আমায় কাপুরুষ বলে ডাকবে!
যাবার বেলায়, সেদিন তুমি বললে "ভালো থেকো"
কিন্তু তুমি তো জানতে, কীসে আমি ভালো থাকি?
আমার ভালো থাকার মাধ্যম টা কী?
আমার ভালো থাকার মাধ্যম টা শুধুই তুমি ছিলে!
"তুমি তেই সীমাবদ্ধ"!
আমি জানি এ ভুল আর কোনদিন ভাঙ্গবে না, তবুও যদি কখনো ভুল ভাঙে তবে ডাক দিও,
আমিও সেদিন রুদ্রের মত বলবো, মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন
ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো
একখানা প্রিয় নাম - ভালোবাসি !!

No comments:

Post a Comment

সুখ, ভালোবাসা, আদর

জীবনকে সঠিক পথে চলতে কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইল ----------------------- ১. ঘুম থেকে উঠে নামাজ ও স্রষ্টার প্রতি আপনার আজকের প্রার্থনা করে নিন। ...