"ব্রেকফাস্ট"
রঙ-চটা চার দেয়ালের মধ্যে মাথার ওপর ফ্যানটা সমানতালে ঘুরতেই আছে।ছোট্ট বেডটায় চিত্ হয়ে মাথার নিচে কভারবিহীন বালিশটা ফেলে চিৎ হয়ে পরে আছি, যার আশিভাগ তেলের দাগে ভরপুর।বেলা এগারোটায় পাকস্থলীতে কেমন যানি মোচড় দিয়ে উটলো। ফ্রেশ হয়ে মোড়ের দোকান গুলোর দিকে যেতেই আবারো মোচড় সাথে অস্থির করা ব্যাথা অনুভব করলাম।একটু পরে অন্ধকার দেখা শুরু হলো, ড্রেনের পাশে কানে হাত দিয়ে বমি করতেছি, ছাত্রীনিবাস থেকে এক মেয়ে ভীতচোখে আমার বমি করা দেখছে।একটু পরে আমাকে এসে বলল,আপনার কি হয়েছে? আমি বললাম,কিছু হয়নি।সে বলল,টেবলেট কিনি আনবো?আমি শক্ত করে বললাম,না। একটু থেমে মেয়েটি আবার বললো, আচ্ছা ভাইয়া আপনি কোন মেসে থাকেন?? এই প্রশ্ন করে আমার দিকে এক বোতল পানি এগিয়ে দিলো।
চোখে মুখে একটু পানি দিয়ে ডিসপেনসারির দিকে এগুলাম। গত কয়েকদিন থেকে শরীরটা খারাপ যাচ্ছে,বমিবমি লাগছে।
আমি কিছু হয়নি একটা ভাব নিয়ে ঘুরছি। জীবনে প্রথম ব্যস্ত রাস্তার পাশে কানে হাতদিয়ে বমি করতে দেখেছিলাম আশিক কে।৷ তার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে একদিন শাপলা চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে দেখলাম মাথা নিচু করে হেটে যাচ্ছে আশিক।
যাদের সাথে একবেলা চায়ের আড্ডা ছাড়া দিন চলতো না, তাদের আজ অনেকেই বিসিএস ক্যাডার, সরকারি আমলা, ব্যংকার, কেউ কেউ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বড় কর্মকর্তা। ইয়ার ড্রপ দেওয়ার কারণে আমার আগেই তাদের গ্রাজুয়েশন হয়ে গেছে। যতদুর জানি, আমার সাথে চুইংগাম এর মত লেগে থাকা সবুজ সম্ভবত গত বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডার পেয়েছে। মধ্যরাতে সাইকেল নিয়ে সশহরের অলিগলি আর রেডিয়াল লাইট গুলো থেকে অনেক দুরের গ্রামগুলোর দিকে ঘুরতে যেত আমাকে নিয়ে। অথচ সময়ের প্রয়োজনে আজ যোগাযোগটাও নাই।
যাদের সাথে একবেলা চায়ের আড্ডা ছাড়া দিন চলতো না, তাদের আজ অনেকেই বিসিএস ক্যাডার, সরকারি আমলা, ব্যংকার, কেউ কেউ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বড় কর্মকর্তা। ইয়ার ড্রপ দেওয়ার কারণে আমার আগেই তাদের গ্রাজুয়েশন হয়ে গেছে। যতদুর জানি, আমার সাথে চুইংগাম এর মত লেগে থাকা সবুজ সম্ভবত গত বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডার পেয়েছে। মধ্যরাতে সাইকেল নিয়ে সশহরের অলিগলি আর রেডিয়াল লাইট গুলো থেকে অনেক দুরের গ্রামগুলোর দিকে ঘুরতে যেত আমাকে নিয়ে। অথচ সময়ের প্রয়োজনে আজ যোগাযোগটাও নাই।
টাকাওয়ালা হিসেবে বেশ নামডাক হয়েছে আশিকের। রেন্ট কার সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা নাকি ভালোই জমিয়েছে। কোন দিন বিয়ের বাড়ির ভাড়া মারে,গাড়ির সামনে শুভবিবাহ লিখে নব দম্পতিকে নিয়ে চলে। অথচো অর্থের অভাবে প্রিয়তমার সাথে সংসার বাধা সম্ভব হয়নি। বিয়ে করেছে গত ছয় মাস আগে। কিন্তু পুরাতন সৃতিগুলো এখনো ভুলতে পারেনি। প্রায় প্রায় ঝিম মেরে বসে থাকে হাতের জ্বলন্ত সিগারেট ফুরিয়ে যায়!
।
গত কয়েকমাস থেকে একটা ছোটখাট চাকুরীর চেষ্টা করছি। চুপচাপ রোজ রোজ ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বের হয়ে পড়ি জীবনের সন্ধানে। এই পৃথিবীর প্রতিটি নগরীতে হাজার রকমের কষ্ট নিয়ে,হাজার রকমের মানুষ রোজ সকালে ব্রেকফাস্ট করে বের হয়।এদের চোখ আলাদা! মুখ আলাদা! ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা,শুধু এদের কষ্টের অনুভূতিগুলো একই। হয়তো কেউ কারোটা বুঝতে পারে না।
।
v
ReplyDelete