Sunday, October 28, 2018

আমি আর আমার দু’চোখ কখনো জলে ভেজাবো না এ ব্যথা আমারই থাক, চাই না কারও সান্ত্বনা পৃথিবী ভালবাসে না, ভালবাসতেও সে জানে না॥ কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনোদিন পদ্মা-মেঘনা দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে হবে না তো এক নদী যমুনা॥ টেনে নিয়ে বুকের কাছে, ছুঁড়ে দেয় ধূলোর মাঝে॥ ভালবাসার নিয়ম মানিনা তাইতো অশ্রু এখন আসে না দিও না, দিও না, সান্ত্বনা কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনোদিন পদ্মা-মেঘনা দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে হবে না তো এক নদী যমুনা॥ ডুবেছিল মায়াজালে হৃদয় সেই ক্ষত এখনো কথা কয়॥ ভালবাসার নিয়ম মানি না তাইতো অশ্রু এখন আসে না দিও না, দিও না, সান্ত্বনা কান্নায় লাভ নেই, কান্নায় হবে না কোনোদিন পদ্মা-মেঘনা দিনের আলোয় শুকিয়ে যাবে সে হবে না তো এক নদী যমুনা..

collect

চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন আর কবিতায় শুয়ে কাপ্লেট আহা উত্তাপ কত সুন্দর তুই থারমোমিটারে এ মাপলে হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল মিঠে কুয়াশায় ভেজা আস্তিন আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস প্রিয় বন্ধুর পাড়া নিঝুম চেনা চাঁদ চলে যায় রিকশায় মুখে যা খুশি বলুক রাত্তির শুধূ চোখ থেকে চোখে দিক সায় পায়ে ঘুম যায় একা ফুটপাথ ওড়ে জোছনায় মোড়া প্লাস্টিক আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস পোষা বালিশের নিচে পথঘাট যারা সস্তায় ঘুম কিনতো তারা কবে ছেড়ে গেছে বন্দর আমি পাল্টে নিয়েছি রিংটোন তবু বারবার তোকে ডাক দিই একি উপহার নাকি শাস্তি আমি ভুলে যাই কাকে চাইতাম আর তুই কাকে ভালোবাসতিস



যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়…………….(।।) এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে জল ভরা দৃষ্টিতে এসো কোমল শ্যামল ছায় । তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়……………. যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়……………. যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরি কদম গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি ।। উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো ঝলকে ঝলকে নাচিবে বিজলী আলো তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়…………….(।।) নামিবে আঁধার বেলা ফুরাবার ক্ষণে মেঘ মল্লা বৃষ্টিরও মনে মনে ।। কদম গুচ্ছ খোঁপায়ে জড়ায়ে দিয়ে জল ভরা মাঠে নাচিব তোমায় নিয়ে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়…………….(।।) যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়……………. গীতিকারঃ হুমায়ুন আহমেদ সুরকারঃ এস আই টুটুল শিল্পীঃ মেহের আফরোজ শাওন
প্রথম প্রেম মানেই গোপনে ভালোবাসা আর দু'চোখ জুড়ে দেখা অজস্র স্বপ্ন। এই লুকোচুরিতে ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাটাও থাকে বেশি। কালজয়ী গান " তখন তোমার একুশ বছর বোধহয়" নিয়ে যায় সেই সোনালী প্রেমময় দিনগুলোতে যার রেশ রয়ে গেছে আজ
জীবনে আমার যদি গো কখনো আসে মাধবী রাত দূর হতে তুমি হেরিও আমাকে হয়ে প্রথমার চাঁদ ব্যথা বেদনায় যদি কাঁদো তুমি ব্যথাতুর আঁখি ভরে দুঃখের মালা রেখেছি যে গেঁথে শত বেদনার সুরে...!!!


পথে পথে চলতে চলতে হঠাত একদিন থেমে যাবো ।। মেঘলা রাতে লুকিয়ে থেকে ।। রুপোর আলোয় জ্যোৎস্না পাবো।। সৃতির বেড়া বাঁধবে যখন পাথর হয়ে আমার মন।। বন্ধু তোমায় বলি শোনো বুকের জ্বালা সয়ে যাবো। অশ্রু ভেজা কোনো দিনে যন্ত্রনা নিয়েছে কিনে ।। অনেক দূরে তবু কাছে।। হয়তো একদিন হারিয়ে যাবো।


একা একা, এই বেশ থাকা আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||একা একা, এই বেশ থাকা
আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||

একা একা, এই বেশ থাকা আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||একা একা, এই বেশ থাকা আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||


একা একা, এই বেশ থাকা আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||একা একা, এই বেশ থাকা আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||
একা একা, এই বেশ থাকা আলো নেই কোথাও সব মেঘে ঢাকা ছায়া ছায়া, সব আবছায়া যাকে খোঁজে মন তার নেই দেখা আনমনে এই একা একা সব মেঘে ঢাকা, সব মেঘে ঢাকা || আলো ছায়া দিয়ে দিন চলে গেছে আমাকে শুন্যতা দিয়ে গেছে উতলা এক হাওয়া ভাসে সে হাওয়ার সাথী শুধু নীরবতা, শুধু নীরবতা ... কিছু পরে দূরে আকাশে চেনা তারারা হয়তোবা দেবে দেখা বেশ আছি এই একা একা || বেলা শেষে রঙ নিয়ে --- ফেলে আসা গান ভাসে মনে মনে | কেউ কথা দিল, কেউ ব্যথা দিল, এই মনে তারই ছোঁয়া রেখে গেল || এই চোখে, মেঘ নামে তাই এ মনে সব সুর ব্যথা ভরা, শুধু ব্যথা ভরা সোনালী দিন, ছিল দিপালি রাত, আজ খুজি তবু পাই না যে দেখা বেশ আছি এই একা একা ||









Friday, October 26, 2018

হৃদয় জানে যুক্তির মূল্য কিন্তু যুক্তি হৃদয় সম্পর্কে কিছুই জানে না




উৎসর্গঃ "শশী"কে

__________মোঃরুহুলআমিন



আমাদের জীবনে দুটো রেল লাইন আছে। একটা ইমোশন আরেকটি রিয়্যালিটি !
বেশিরভাগ মানুষ যেকোন একটাতে আটকে যায়। হয় খুব বাস্তববাদী হয়; কর্পোরেট ভালোবাসায় নিয়ম করে ঘড়ি ধরে চুমো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ! আর নাহয় চোখের দিকে তাকানোই যায় না- আবেগে থরথর করে কাঁপতে থাকে।
যে কবিতা পড়ার পর প্রবল আবেগে আপনার মরে যেতে ইচ্ছে করে, কর্পোরেট লাইফের এই দুনিয়াটাকে অনর্থক নিরর্থক মনে হয় সেই কবিতারও একটা মজবুত রিয়্যালিটি আছে। কবি কিন্তু তার পংক্তিমালা ব্যাগে করে নিয়ে প্রকাশকের সাথে আলাপ করেছেন। যে পংক্তিমালা পাঠ করে আপনি ফ্লোরে চিত হয়ে পড়েছিলেন, সেই পংক্তিমালার আবেগের দামে টেবিলের উপরে রাখা ক্যালকুলেটর দিয়ে কবি তার প্রাপ্য কমিশনের হিসেব কষেছেন ! বেঁচে থাকার জন্য দুটোরই দরকার আছে। তানাহলে ওরা আপনাকে বাঁচতে দেবে না।
খুব সামাজিক কিংবা খুব অসামাজিক কোনটাই আসলে ভালো না। কারো চিন্তা চেতনা আমার সাথে মেলে না তাই আমার চিন্তার অংশে আমি কাউকে রাখব না - এসব অনেক মান্ধাতা আমলের ফিলোসফি। কিছু সয়ে যেতে হয়, কিছু আপনাতেই সয়ে যায়। সব কিছু নিয়েই জীবন।
অফিস পাড়ায় রোদে দর কষাকষি আর শ্রাবণের বৃষ্টিতে কাউকে লং রোডে নিয়ে সব বিলিয়ে দেয়া - দুটোই জীবনের সুন্দর অংশ। বৃষ্টির রাতে লং রোডে ঘুরতে বের হবার পয়সাটা অফিস পাড়ায় রোদে দর কষাকষি থেকেই আসে। দুটোই সুন্দর। দুটোকে আলাদা করে দেখতে গেলেই যত দ্বন্দ্ব।
কোনদিনও নিজের ইমোশনের কাছে হেরে যাবেন না। যখন এই পৃথিবীটাকে একটা স্বার্থপর গ্রহ মনে হবে; সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে হেরে যেতে ইচ্ছে করবে তখন পা ফেলতে হবে রিয়্যালিটিতে। শেষমেশ কিন্তু আবেগেরই জয় হয়।
নিৎসে দারুণ বলেছেন, ' হৃদয় জানে যুক্তির মূল্য কিন্তু যুক্তি হৃদয় সম্পর্কে কিছুই জানে না

Wednesday, October 24, 2018




তোমার জন্য "



উৎসর্গঃ "শশী"কে

__________মোঃরুহুলআমিন



তোমার জন্যই আজ আমার রাত জাগার রুটিন ,তোমার জন্যই আমি শুনতে শুরু করেছি বাংলা আর্ট ফিল্মের গান – তোমার জন্যই আমি টুকরো টুকরো করেছি নিজেকে, তোমার ছাঁচে নোতুন ক’রে গড়বার আশায়! স্বপ্নগুলোকে তা দিয়েছি অতন্দ্র প্রহরায় ,আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছি নিজেকে । নিজেকে লক্ষ্যভেদী অর্জুনের মতো মনে হতো মাঝে মাঝে তোমার জন্য । হ্যাঁ তোমার-ই জন্য.............. অবাক হবার আজ আর কি থাকতে পারে বলো ?নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে যতবার চেষ্টা করেছি পা ফসকাতে ফসকাতে তোমার ঘাড়েই হাতটা রেখেছিলাম। বিশ্বাস করো সত্যিই আমি দাঁড়াতে পারছিলাম না তোমায় ছাড়া । আমি জানতামই না কোন্ রংগের শার্ট এ আমায় এতোটা ভালো মানায় ?
তুমিই আমায় নেভি ব্ল প্যান্ট আর সাদা পাঞ্জাবি তে অনন্যা করেতুলেছিলে – মানতেই হবে । আমাকে তুমি তোমার মতো করে গড়তে গড়তে-ই তুমি বুঝে গেছো আমাকে – বুঝে গেছো আমার দৌড় । বুকে পাথর বেঁধে – দগদগে ঘায়ে সারারাত চোখের জলের নুন মেখে নিজেকে জ্বালাতে জ্বালাতে তবুও অভিশাপ দিতে পারিনি তোমায় – “আমার মধ্যে আগুন আছে -- আগুন ” আজকে বুঝেছি ঠিক-ই বলেছিলে – ভেতরের আগুন থেকে উত্তাপটুকু নিয়েছিলে তুমি – জ্বলে পুড়ে খাক্‌ আমি আজ মরা উনুন হয়ে বসে আছি । জানি ভদ্র সমাজ পরিবার সেখানে নতুন করে জ্বালবে আগুন সানাই – বেনারসী – হাজারো লোকের উত্তাপ নেবে তার – কাকে বোঝাই কে বুঝবে বলো – এক বুক আগুন নিয়ে উনুন কীভাবে নিজেকে পোড়াতে পোড়াতে ভেতরে শয়ে শয়ে মরুভূমি হতে থাকে ... ভালো থেকো এতো বড়ো চাকরি তোমার অবকাশ কোথায় আর । আর তোমার বিয়ে করা নববধূ স্ত্রী শ্রীতমাকে নিয়ে সুখে থেকো একটা কথা ভাবলে অবাক লাগে – চাকরিটা পাইনি বলেই কি আমি দক্ষিণা হাওয়া থেকে দুর্গন্ধে পরিণত হলাম! তোমাকে Online দেখি, বুঝি তো সব,বুঝি আমি । সময় দিয়েছ ঠিকই ; কিন্তু আমি যে টিচার হবো ! কি করবো এতদিন অপেক্ষা করেও নানা কেস কামারি রাজনীতিতে আমার পথটাই লম্বা হয়ে গেলো । অনেক পড়েছি অনেকভাবে ... ভালো প্রস্তুতি আমার বিশ্বাস করো যদি ভালোয় ভালোয় সবটুকু হয় – আমি চাকরিটা পাচ্ছিই । জীবনে সত্যিই দাঁড়াবো আমি দেখে নিও । Sorry তুমি কী দেখবে আর ! তবে আমি দেখতে পাচ্ছি আমার স্বপ্ন ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছি – তবু একা লাগে – ভীষণ একা ...! ভাবতে তবু চেষ্টা করছি ছোটো ছোটো ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াচ্ছি – আর মুখ ফসকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলে ফেল্‌ছি ... তোমার জীবনে মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিও টাকা রোজগারের মাত্রা দিয়ে নয় – আর মেয়েরা নিজের পায়ে না দাঁড়ালে এই সমাজে উচ্ছিষ্টের মতো অস্তিত্ব নিয়ে থাকতে হবে – তাই দাঁতে দাঁত চেপে বলো – আমিও পারি – আমিও পারবো ... আমিও পারবই পারবো ....................... ................................................ থাক্‌ ছাড়ো ,এতো ভাবা ঠিক নয় । কাল Written Exam.ঘুমুতে হবে । রাত জাগার রুটিনটা আর বদলাতে পারলাম না গো ...।






Tuesday, October 16, 2018

অভিমান(পার্ট 2)

অভিমান(পার্ট 2)

উৎসর্গঃ চিরচেনা "শশী" কে


__________মোঃরুহুলআমিন

আমি ছিলাম তার ভাষায় বেয়াদব জুনিয়র,তার বন্ধুরা আমাকে লাই দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলেছে।যেমন আমাকে নিয়ে তারা হলের ছাদে চা সিগারেট খায়,গল্প গুজব করে।সারাদিন বাইকের পিছনে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।আমি সারাদিন আড্ডা দিয়ে রাতে রূমে গেলে তিনি বলতেন,কিরে বেয়াদব?তোর ঘোরাঘুরি শেষ!না আবার খেয়েদেয়ে বের হবি?আমি একটা ফ্যাকাশে হাসি দিয়ে বলতাম,ভাই!!সে বলতো,খবরদার আমাকে ভাই বলবি না। আমি কোন বেয়াদবের ভাই না। প্রায় পাঁচ বছর পরে বাপ্পা ভাইয়ের সঙ্গে দেখা।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি আমার রূমমেট ছিলেন,তার কাজ ছিলো সারাদিন পড়াশোনা আর তার বিখ্যাত প্রেমিকা নিয়ে ক্যাফেটেরিয়া বসে গল্প করা।তার জীবন বলতে এতটুকুই,প্রেম আর পড়াশোনা!এর বাহিরে তিনি অন্যকিছু করতে নারাজ।তার বন্ধুরা ব্যাপারটা নিয়ে সব সময় আমার হাসি মসকরা করতো। একদিন তারাতাড়ি রূমে ফিরেছি,তিনি আজকে আমাকে দেখে কিছু বললেন না। আমার মনটা কেন যেন একটু খচখচ করছে,কেন এমন হলো। আমি সিগারেট প্যাকেটটা বালিশের তলায় রেখে বললাম,ভাই কোন সমস্যা? তিনি কিছুটা মলিন গলায় বললেন,তোর কাছে সিগারেট আছে রে মুরাদ? আমি চমকে উঠলাম!যে লোক চা পর্যন্ত খায় না,তিনি চাইছেন সিগারেট! তাও আবার নাম ধরে ডেকে। এই লোক তো যখন তখন আমাকে বেয়াদব টেয়াদব যা তা অবস্থা করে। আমি একটা মালব্রো লাইট বের করে দিলাম।তিনি সিগারেট ধড়ালেন।আমি বললাম,কি হইছে ভাই আপনার?তিনি বললেন, তুই প্রেম ট্রেম করিস কিছু? আমি বললাম,না ভাই করি না!আমার সাথে কে প্রেম করবে?সে কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললো,তোর আপুর ব্যাংকের জব টা হয়ে গেছে বুঝলি।আমি মুখটা হাসিহাসি করে বললাম,এটা তো আনন্দের সংবাদ!আপনি এতো টেনশন করছেন কেন? আপনার তো উচিত এই সুবাদে ভাইব্রেরাদারদের খাওয়া দাওয়া দেওয়া।তিনি একটা ম্লান হাসি দিয়ে বললেন,শোন যেদিন তুই বেকার হবি এবং তোর একটা আমার মতো রূপবতী প্রেমিকা থাকবে!সেইদিন বুঝবি বেকারদের চাকুরিজীবী প্রেমিকা থাকা কতোটা টেনশনের।আমি বললাম,ধুর ভাই কি যে বলেন।সে বললো,শোন মেয়েরা ছেলেদের ম্যানিব্যাগের চেহারা দেখলেই বুঝতে পারে এর অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন চলছে।আমি আর কথা বাড়ালাম না,এমনিতেই সারাদিন ঘোরাঘুরি আমি ক্লান্ত!তিনি পড়তে বসলেন। এরপর ভাই পড়াশোনা গতি আরো বাড়িয়ে দিলেন।আপুর সঙ্গে কয়েকটা জব এর পরীক্ষা দেওয়ার পরেও তিনি টিকেন না কিন্তু আপু টিকে যায়।কেন এমন হয়,তিনি নিজেও জানেন না।হয়তো আমাদের বসে সঙ্গে হাসাহাসি করছেন,এমন সময় হটাৎ যদি মনে হয় তার প্রেমিকা এখন ব্যাংকার আর তিনি এখনও বেকার।সঙ্গে সঙ্গে উঠে গিয়ে পড়তেন বসতেন।তার এসব কাহিনী দেখে তার বন্ধুরা বলতো,শোন এতো পেইন নিস না,পরে দেখবি এখন সিগারেট ধরেছিস!আবার কোনদিন প্রেমিকার টেনশনে গাঞ্জা ধরবি।তোর প্রেমিকা ওইদিকে ব্যাংকে বসে টাকা নাড়াচাড়া করছে!আর তুই এই দিকে পড়াশোনা বাদ দিয়ে গাঞ্জা খাচ্ছিস। ভাই এসব কথা শুনে কিছু বলতেন না,রাগি চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে থেকে পড়তে বসতেন। একদিন গভীর রাতে বাহিরে থেকে রূমে ফিরছি, দেখি বাপ্পা ভাই এখনও জেগে আছেন। আমি রূমে ঢুকতেই তিনি মুখটা অন্যদিকে করলেন! আমি তার গাল ভেজা দেখতে পেলাম। নিশ্চয়ই এতোক্ষন কেঁদেছেন।আমি বিব্রতবোধ করছি। কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললাম,কি হইছে ভাই!কি হইছে আপনার??তিনি কিছুটা শান্ত হয়ে বললেন,তোর আপুর বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ব্যাংকারের সঙ্গে আজকে সন্ধ্যায় বিয়ে হইছে। আমি কিছুটা অবাক হলাম তার কথা শুনে।বিরক্তিটা এক নিমেষেই বিস্ময়ে পরিনত হলো।আপুর মতো একজন মানুষের কাছে এমনটা কখনোই আশা করা যায় না।আমি পুরোপুরি অবাক। তিনি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে বললেন,ভালোই হইছে বুঝলি।বেকার ছেলের এতোদিন ঝুলে থাকার মানেই হয় না।আমি কিছু বলতে পারলাম না,আমার মুখে কথা আটকে গেছে। পৃথিবীতে কেউ হঠাৎ চলে গেলে প্রথম দিকে মানুষের খুব কষ্ট হয়। মানুষ যতটা না কষ্টের কথাভেবে কষ্ট পায় তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট পায় আনন্দের কথা ভেবে,একদিন সকালে দুজন পাশাপাশি বসে ছিলো কৃষ্ণচূড়া রোডে,কিংবা একদিন সন্ধায় দুজন দাড়িয়ে ছিলো ক্যাফেটেরিয়ার সামনে।আনন্দের দিনগুলোই প্রথমে মনে আসবে।এক সময় মনে হবে তাকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারা যাবে না।সারাদিন শুয়ে থাকা,শুয়ে শুয়ে তার কথা মনে করা,রাতে জেগেথাকা,বুকের মাংস পেশী চিনচিন করে কাঁপুনি দিবে,খিঁচুনি দিবে।এই ব্যাপার গুলো দুটি সময় ঘটে যখন মানুষটি কাছে আসে এবং যখন চলে যায়। এর পরে বাপ্পা ভাই পুরোপুরি চেঞ্জ হয়ে গেলো। আমাদের সঙ্গে সময় দিতো,গান বাজনা হতো!তার রূমে একটা চায়ের ফ্লাক্স ছিলো ওটাতে চা ভর্তি করে নিয়ে বসতেন।আমরা সারারাত ক্যাম্পাসের বসে জ্যোৎস্না দেখতাম!লাল চোখ নিয়ে গিটার হাতে ঝিমুনি দিতাম কোন রূপবতীকে কল্পনা করে!! আমাদের সঙ্গে হয়তো বাপ্পা ভাইও ঝিমুনি দিতেন তার ব্যাংকার প্রেমিকার কথা ভেবে।কে জানে এই মেয়েটার কি বাপ্পার মতো একজন বেকার যুবকের কথা মনে পড়ে কি না?যে এখন প্রায়ই গভীর রাতে আমাদের মতো কিছু ব্যাকবেঞ্চার ছেলেদের সঙ্গে তার কথা ভেবে রাত জেগে জেগে ঝিমুনি দেয়।কে জানে?এই মেয়েটা যখন রেগুলার ব্যাংকে বসে এক হাজার টাকার চকচকে নোটগুলো নাড়াচাড়া করে,তখন কি সামান্য সময়ের জন্য বাপ্পার মতো কোন অপদার্থ বেকার যুবকের কথা মনে করে অন্যমনস্ক হয়ে যায় সামান্য সময়ের জন্য!!কেন জানে!!! এই ঘটনার পাঁচ বছর পরে বাপ্পা ভাই আর আমি সেই বিশ্ববিদ্যালয় সামনে আজকে রাতে খেয়েদেয়ে বসে আছি।বাপ্পা ভাই পণ করেছিলেন আর কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় আসবেন না,কিন্তু আজকে নিয়তি ঠিকই তাকে এখানে এনেছেন।পাঁচ বছর আগে যেদিন সে চলে যান,কাউকে বলে পর্যন্ত যায় নি।রাতে রূমে এসে দেখি তিনি চলে গেছেন।শুধু শুনেছি পরের বার তিনি বিসিএস এডমিন ক্যাডার হয়েছেন!বিবাহ করেছেন,তার রূপবতী বউ ডাক্তার,নাম ডাক্তার নাজনীন সুলতানা।আজকে আমরা ডাক্তার নাজনীন সুলতানার জন্য অপেক্ষা করছি!নাজনীন সুলতানা নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে আসছেন কুড়িগ্রাম থেকে।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পা রহমানকে নিয়ে যাবেন রাজশাহীতে। বাপ্পা রহমান এবং তার রূপবতী স্ত্রী ডাক্তার নাজনীন সুলতানা একটু আগে আমাকে ধাপে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছেন।যাওয়ার সময় ডাক্তার নাজনীন সুলতানা মিস্টি করে হেসে বলেছেন,শুনেছি আপনার চিত্রলেখা নাকি অনেক রূপবতী!!


রূপবতী!!ভয়াবহ রূপবতীমাথা খারাপ করার মতো।ঘটনা কি সত্যি? আমি বললাম,হুম সত্যি ঘটনা সত্যি!! তিনি বললেন,আমাকে বিয়েতে দাওয়াত করবেন কিন্তু!!আমি সামান্য হেসে শুধু বললাম,অবশ্যই!!হয়তো আরো কিছু বলা দরকার ছিলো কিন্তু কিছু বলি নি।কেন বলি নি,নিজেও জানি না।মাঝেমধ্যে কাউকে খুশি করার জন্য কিছু বলতে ইচ্ছে করে না!নির্জীব হতে ইচ্ছে হয়।ইদানীং আমিও বেকার হয়েছি,আমার এখন আর কোন কাজ থাকে না।মাঝেমধ্যে হটাৎ হটাৎ প্রথম দিকের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের রাত জাগা ঝিমুনি গুলো মিস করি!!আড্ডাগুলো মিস করি!!একটা নস্টালজিক ভূত এসে মাথায় ভর করে।বাপ্পা ভাই,তার ব্যাংকার প্রেমিকের গল্প!আর কিছু আবেগহীন যুবকের একদলা অভিমানী পথ চলা..........................................


https://www.facebook.com/profile.php?id=100009159829300

Saturday, October 13, 2018

"ভণ্ডামি ও ভালোবাসা"


                                          "ভণ্ডামি ও ভালোবাসা"

উৎসর্গঃ "শশী"কে

__________মোঃরুহুলআমিন


আপনার সাথে ভালো টাইম পাস করার পরেও যখন আপনার প্রিয়তমার "'বেস্ট ছেলে বন্ধুর "" দরকার হয় তখন বুঝে নিবেন আপনি তার, জন্য পারফেক্ট নন । সেও আপনার জন্য পারফেক্ট নয় । সময় থাকতে সরে আসুন ।
আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম অনেক কাপলকে দেখতাম ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে ঝগড়া করতো । এই ঝগড়া করা প্রজন্মটাকে আমি কোনদিনই রিলেশনে সফল হতে দেখি নাই ।
আপনি কিংবা আপনার প্রেমিকা উভয়েই যদি ইন্সট্যান্ট ফেসবুকের ইনবক্স দেখানোর ক্ষমতা না থাকে তাহলে বুঝে নেন আপনারা কেউই একজন আরেকজনের প্রতি LOYAL নন । দুইজনেই একজন আরেকজনের অনুপুস্থিতিতে মজা নিতে অভ্যস্ত ।অধিক ছেলেবন্ধু দ্বারা সংক্রমিত মেয়েগুলো “”FRIENDS WITH BENEFITS”” নিয়ে ঘুরতে অভ্যস্ত । এদের সাথে মজা নেয়া যায় । ভালোবাসা যায় না ।

মাথায় রাখুন , ONCE A CHEATER , ALWAYS A CHEATER .
ভুল করলে মাফ করা যায় । চিটিং করলে আউট ।এই দুনিয়াতে পারফেক্ট কাপল বলে কিছু নাই । সবই হচ্ছে সময়ের খেলা । সময় খারাপ হয়ে গেলে আজকের জানু আগামী দিনের জানোয়ার । লিখে রাখুন ।

পজিশন দিয়ে কোনদিন ভালোবাসা পাওয়া যায় না । তবে যদি ইগো থাকে তাহলে সেটা পূরন করা যায় । কোন বিশেষ মেয়ের প্রতি যদি রিজেক্ট জনিত কোন ধরনের ইগো থেকে থাকে তাহলে আপনি পজিশন দিয়ে সেই মেয়েকে জয় করে নিতে পারবেন । ভালোবাসা পাবেন কিনা সেটা আগেই বলা যাচ্ছে না ।
কিছু কিছু মেয়ে আছে যাদেরকে বলা যায়
THEY ARE NOT A PERSON TO BE LOVED , THEY ARE ITEM TO BE FUCKED
মেয়েরা স্পাইন সোজা রেখে যেভাবে মিথ্যে কথা বলতে পারে , একটা ছেলে সেভাবে স্পাইন সোজা রেখে মিথ্যে বলতে পারে না । এটা তাঁদের জন্য খুব কঠিন কাজ ।মেয়েদের প্রথম প্রেমটা হয় অন্ধ । বেশিরভাগ সময় ঠকে যায় । তাঁদের দ্বিতীয় প্রেমটা হয় পারফেক্ট । টিকে গেলে ভালো । না হলে সর্বনাশ । আর তৃতীয় এবং চলমান প্রেমগুলো হয় নোংরামির চিহ্ন ।
অপ্রিয় সত্যি কথা হচ্ছে , এই যুগে রিলেশশিপের গোল হচ্ছে শারীরিক শান্তি । মানসিক শান্তি নয় ।


                                                                                                       _________মোঃরুহুলআমিন

Thursday, October 11, 2018

"কে জানে"


"কে জানে"

উৎসর্গঃ "শশী"কে

__________মোঃরুহুলআমিন

সকালে ঘুম ভাংলো শশীর ফোনকলে, জানালা খুলে দেখলাম শরৎকালের বৃষ্টি। মনটা বেশ ভালো হয়ে গেলো হঠাৎ করেই। যদিও দিনে এক প্যাকেট সিগারেট আর কয়েক কাপ চা লাগে কিন্ত হাতের অবস্থা ভালো না থাকায় বিকেলবেলা এককাপ চা আর একটি মাত্র সিগারেট দিয়েই দিন পার করে দিয়েছি।
আজ বহুবার আকাশের দিকে তাকিয়েছি। ভিজে মেঘের দুপুরে নিঃসঙ্গ এক সোনালী চিল উড়ছিল তার সঙ্গীনির খোঁজে। সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যাবার সময় পশ্চিমাকাশে এক বিচিত্র রং ছড়িয়ে পড়েছিল। মেসের পেছনে ড্রেন আর একটা খাল রয়েছে। শ্রাবণের বর্ষণে সেই ছোট্ট খালটা ভরপুর। হঠাৎ খেয়াল করলাম সেই পুকুর থেকে ব্যাঙের ডাক। এত বছর মেসে আছি কখনো ব্যাঙের ডাক শুনিনি, আজ হঠাৎ এরা ডাকছে কেন? নাকি আমিই এতদিন খেয়াল করিনি। আজ যে দিনটা গত হল, সময়ের গভীরে ঢুকে গেল যে সময় তা পৃথিবীর অন্য সবার কাছে অন্য আর দশটা দিনের মত। কিন্তু আমি জানি আজকের দিনটি আমার কাছে অন্য সব দিনের মত নয়...... শশীর সাথে যখন আমার পরিচয় হয় তখন আমার মোটামুটি হতদরিদ্র অবস্থা। অনার্স লাইফে, জীবনের চার বছরের চার টা শীত আমি পার করেছি। কিন্ত নতুন করে শীতের কাপড় কেনা হয়নি। আমার সর্বশেষ পাঞ্জাবিটাও বছর তিনেক আগে কেনা। এই তো কিছুদিন আগে জাহাজ কোম্পানির বাটার দোকান থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে শশী আমাকে এক জোড়া স্লিপার কিনে দিয়েছিল যেটা ছিল আমার জীবনের প্রথম .........আমার মত হতদরিদ্র একটা ছেলে ভালবাসার জন্য যেই পরিমাণ মানসিক শক্তি, সাহস আর ভালোবাসা থাকা দরকার শশীর তা কোন অংশেই কম নেই, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি। শশীর অনেক স্বপ্ন।
আমার মা 'র ও অনেক স্বপ্ন ছিল। মা খুব চমৎকার গাইতে পারতেন। বাবার সংসারে দারিদ্রতার সাথে লড়াই করতে গিয়ে মা আজ ক্লান্ত। আমি চাই না আমার মায়ের মত নীরার স্বপ্নগুলো নষ্ট হোক। আমি জীবনে পরাজিত সৈনিক। ব আমার এখন কাজ দরকার, টাকা দরকার। আমি হয়তো আর একটু চেষ্টা করলে সরকারি কোনো চাকরি জুটাতে পারব। কিন্তু সেই সময়টা কবে হবে তা জানি না। তাই তার জন্য আমি আর বসে থাকতে পারছি না।

আচ্ছা শশী তোমার কি মনে আছে? আমাদের প্রথম পরিচয়ে কেমনে হয়েছিলো?? মুগ্ধ করে তাকিয়ে থাকতাম আমি? সারাক্ষণ তোমাকে দেখে দেখে মুগ্ধ হতাম!!!তুমি যখন ছিলে না তখন তোমাকে না পাওয়ার কষ্ট ছিল না। মাঝেমাঝে ভাবি তোমাকে ভালোবাসার জন্য এই কষ্টটা আমার দরকার ছিল।খুব দরকার ছিল। আমার জীবনে থেকে তোমার চলে যাওয়া দরকার ছিল।তুমি যখন ছিলে আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারিনি।নতুন করে ভালোবাসার কী আছে !তুমি তো আছোই’ তুমি তো চলে যাবে না।এই নিশ্চিন্ত বাক্যটি আমাকে, তোমাকে ভালবাসতে দেয়নি।
তুমি চলে যাবার পর আমি দিনরাত তোমার কথা ভেবেছি। না খেয়ে,না ঘুমিয়ে থাকি নি।নিয়মিত পড়াশোনা করেছি।আগের চেয়ে আরো হাসিখুশি হয়েছি!আড্ডাবাজ হয়েছি!স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছি,শুধু মাঝেমধ্যে যখন কিছু একটা মনে হতো!তখন থমকে গিয়েছি,ক্ষনিকের জন্য!এই আর কি!আর কিছু না। তুমি কি জানো?পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব থেকে পুরনো প্রেমিক প্রেমিকার বয়স কত? প্রায় ছয় হাজার বছর।পরস্পর জড়িয়ে ধরা অবস্থায়,কঙ্কাল দুটি পাওয়া গেছে ইটালীর একটি মাটির গ্রামে। শুধুমাত্র ভালোবাসার অপরাধে তাদের সঙ্গে কি করা হয়েছিলো জানো?ভালোবাসার অপরাধে,ছয় হাজার বছর আগে কোন এক গভীর রাতে তাদের জিবন্ত মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিলো।কি অদ্ভুত আমাদের এই পৃথিবীর!!এখানে মানুষকে ভালোবাসলেও মাটি চাপা খেতে হয়।
তুমি জানো!ইদানিং মাঝেমধ্যে আমার খুবই জানতে ইচ্ছে করে,আচ্ছা সেইদিন যখন এই ছেলে মেয়ে দুটিকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়!তখন তাদের কি অনুভূতি হয়েছিলো?তারা তো দুইজনেই নিজেদের জড়িয়ে ধরে ছিলো!!তখন কি তাদের খুব সুখী মনে হয়েছিলো?তোমার মতো ছয় হাজার বছর আগের এই মানুষ দুটিকে এখন আমার প্রায়ই দেখতে ইচ্ছে করে...তাদের জন্য উদাস লাগে!! আমার জীবন থেকে তোমার চলে যাওয়া দরকার ছিল।তুমি চলে যাওয়ার পরে জীবনটাকে নতুন করে বুঝতে শিখেছি।তুমি চলে যাওয়ার পরে একটা গল্প লিখেছি।এখনও ছাপানো বাকি আছে।আর একটু গুছিয়ে নেই! তারপর তোমায় নিয়ে লেখা গল্প প্রকাশ করা হবে।এখন আমার লেখার মান আগের থেকেও খারাপ হয়েছে।কি করবো বুঝতে পারি না।এক কথা বারবার ঘুরে ফিরে লিখি,লেখালেখির মধ্যে থাকি।না লিখতে পারলে আমি যে বাঁচবো না।তারপরও তোমার গল্প লেখার জন্য, আমি এই নগর,সেই নগর ঘুরে বেড়িয়েছি।তোমায় নিয়ে একটা গল্প লিখতে হবে।নতুন একটা গল্প পেয়ারা পাতার গল্প,সাদা বকের গল্প,দুঃখী দুঃখী টাইপ চেহারার কোন শ্যামলা মেয়ের গল্প,হাস্নাহেনার গল্প,অভিমানী সংসারের গল্প। সবাই যখন ভার্চুয়াল জগতে চেটিং,ডেটিং নিয়ে পরে থাকতো,আমি পড়ে থাকতাম তোমার গল্প নিয়ে।শুয়ে শুয়ে গল্প ভাবতাম ; আবল তাবল গল্প।তোমার জন্য গল্প।
!ত্রিশ বছর পর হয়ত রংপুর কারমাইকেল কলেজের কিংবা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোন বেকার যুবক গভীর রাতে হালকা টেবিলল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়বে আমাদের গল্প।হাল্কা লাইট সিগারেট ঠোটে জ্বালিয়ে চুলোয় কড়া লিকারের কেটলি বসাবে!একহাতে থাকবে আমাদের গল্প।কে জানে?সে দিন হয়তো তুমিও কোন ভদ্রমহীলার মতো জীবনযাপন করবে!তোমার সংসার হবে,সন্তান হবে। একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে বইয়ের দোকানে ভার্চুয়াল ম্যাগাজিন খুঁজতে গিয়ে,একটা বই দেখে তোমার চোখ অাটকে যাবে।চুপচাপ বইটি কিনে চলে আসবে।কেন জানে?কোন এক নির্ঘুম রাতে বিষন্ন চোখে পড়বে তোমাকে নিয়ে লেখা বই!একদলা কষ্ট বুকের উপরে এসে ভর করবে।হয়তো আমি থাকব না। অনুপস্থিত হয়ে যাব।গল্পে তোমার রূপের বর্ণনা পড়ে তুমি অন্যমনস্ক হয়ে যাবে সামান্য সময়ের জন্য!আর অন্যদিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কোন বেকার যুবক কোন এক অচেনা কষ্টে চুপচাপ বসে পুবের আকাশে একটি নক্ষত্রের সাথে চোখ মুছবে!!পাশে খোলা পরে থাকবে তোমায় নিয়ে লেখা গল্প............."কে জানে"!!

Subscribe youtube channel: https://www.youtube.com/channel/UCepbX3DDgVqQ-jt1_IxC7Cw?view_as=subscriber

Wednesday, October 10, 2018

প্রাক্তন







                                                                    "প্রাক্তন"

__________মোঃরুহুলআমিন

রুপা একা জানালায় এখনো অপেক্ষা করে কিন্তু হিমু আর ফিরে না। আর কনোদিন তার ফিরা হবে না মৃতিকা ভবনের সামনের ঐ ২৪৮ নম্বর ল্যাম্পপোস্টের নিচে।
মায়ার কারাগারে হিমু বন্দী হতে চায় না। সব যুক্তি ছিন্ন করে হিমু তাইতো আজ বড্ড একা.....
শেষবার যখন রুপার সাথে কথা হয়, সে জিজ্ঞেস করেছিলো,তুৃমি নাকি একটা খুন করতে চাও?সত্যি?
আমি জবাব দিলাম না।
কাকে খুন করতে চাও,আমাকে?
আমি চুপ করে রইলাম।
রূপা বলল,'তোমাকে যে আমি প্রচন্ড রকম ভালবাসি সেটা কি তুমি জান?'
'না।'
'তুমিও আমাকে প্রচন্ড রকম ভালবাস,তবে ভালবেসে সুখ পাচ্ছ না।তাই না?'
আমি আবারো চুপ করে রইলাম।
রূপা বলল,'সত্যিকারের ভালবাসার একটা বড় লক্ষণ কি জান?ভালবেসে সুখ পাওয়া যায় না,কখনো না।
আজকাল রাতে হাটার সময় মনে হয় কেউ একজন আমায় পিছু নিয়ে আমার সাথেই হেটে চলছে..... তবে কি এটা রুপার অদৃস্য সত্বা???
আনমনে ক্ষমা চেয়ে বসি রুপার কাছে, আর হাটতে থাকি ফাকা রাজপথে। কনো ক্লান্তি আসে না..........
হলুদ গোলাপ টা আর কখনওই রুপাকে দেওয়া হবে না।





https://www.facebook.com/profile.php?id=100009159829300

কয়েকটি ভ্রুণ ও মেডিকেলের ডাস্টবিন"

                                কয়েকটি ভ্রুণ ও মেডিকেলের ডাস্টবিন"


__________মোঃরুহুলআমিন











  
সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কিছু কিছু গল্প ধরা দেয় আমাদের প্রাণের গহীনে। আচমকা থমকে যাই আমরা, থমকে দাঁড়ায় বিবেক........সবাই ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা! "ভ্রুণের আত্মকথা"!!
হ্যা, আমরাই সেই ভ্রুণ, জন্মের আগেই যার ঠিকানা হয় মেডিকেলের ডাস্টবিন। অন্যান্য ভ্রুণের মত মা বাবার ভালোবাসায়, পরম যত্নে আমাদের ঠিকানা হয়নি তুলতুলে বিছানা, স্থান হয়নি মায়ের কোলে। আমার কথিত গর্ভধারিণীর আচলে আমমাদের জন্য কোন জায়গাই ছিলনা। তার আচলে শুধু ঠাই পেয়েছিলো কামনা, বাসনার উষ্ণতা। মহাপুরুষরা যুগ যুগ ধরে যে পবিত্র সম্পর্কের কথা বলেছে তার ভিত্তিতেই একজনের গর্ভে আমাদের দু'জনের আগমনীর গান বেজেছিলো সেদিন। দিনের পর দিন কত প্রেম,কতইনা ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে একজনের গর্ভে ধীরেধীরে বেড়ে উঠতে থাকি।
কারমাইকেল কলেজের ক্যাম্পাস, মধুবন, বৃন্দাবন, ঐ থার্ড বিল্ডিং এর ছাদ এমনকি কাইলেজিয়া গাছটা পর্যন্ত জানতো আমার অস্তিত্বের কথা।ছোট্ট এই নগরীর প্রতিটি ধূলিক্ণাও শ্রদ্ধা করতো তাদের ওই পবিত্র সম্পর্ককে। সবকিছু ভালোমতোই চলছিলো। সমস্যাটা সেইদিন হলো যেদিন মাতৃগর্ভে অস্তিত্বের কথা জানান দিলাম..................
সব প্রেম, সব ভালোবাসা, সব সম্পর্কগুলো সেইদিন আড়ষ্ট হয়ে গেলো। বনের নিশাচর পর্যন্ত হায়, হায় করে কেদে ফিরে গেলো। প্রকৃতি নিস্তব্ধ হয়ে আমাক জানিয়ে দিলো "বিদায়"......অবেলায় কালো মেঘের দল এসে গ্রাস করলো আমাকে,এই ভ্রণকে।
সেই প্রেমিকযুগল যাদের কামনা -বাসনায় আমার ঠিকানা হয়েছিলো মাতৃগর্ভে, আজ তাদের ইচ্ছাতেই মাতৃগর্ভ থেকে আমার স্থান হলো মেডিকেলের ডাস্টবিনে। পুনরায়, তাদের উষ্ণ প্রেমে পরগাছার মত এলো আরো একটি ভ্রুণ। কিই আর করার, ছুড়ি কাচি আর ঔষধ দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মেরে ফেলা হলো ২ য় ভ্রুণকে। তবে কী আমাদের মত ভ্রুন শুধুই তাদের উষ্ণ প্রেমের পরগাছা? আজ যাদের জন্য আমি মেডিকেলের ডাস্টবিনে রক্ত, পুজ, ছেঁড়া গজ কাপড় নিয়ে বসবাস করছি, তাড়াও একদিন আমার মতই কোন এক মায়ের গর্ভে ছিলো।
তবে সেই মানুষরুপী পশুদল আজ কেমন করে পৃথিবীতে এলো????
N.B: কারো মনে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়

__________মোঃরুহুলআমিন

"ব্রেকফাস্ট"

                                   "ব্রেকফাস্ট"

উৎসর্গঃ "শশী"কে

____________মোঃরুহুলআমিন


রঙ-চটা চার দেয়ালের মধ্যে মাথার ওপর ফ্যানটা সমানতালে ঘুরতেই আছে।ছোট্ট বেডটায় চিত্‍ হয়ে মাথার নিচে কভারবিহীন বালিশটা ফেলে চিৎ হয়ে পরে আছি, যার আশিভাগ তেলের দাগে ভরপুর।বেলা এগারোটায় পাকস্থলীতে কেমন যানি মোচড় দিয়ে উটলো। ফ্রেশ হয়ে মোড়ের দোকান গুলোর দিকে যেতেই আবারো মোচড় সাথে অস্থির করা ব্যাথা অনুভব করলাম।একটু পরে অন্ধকার দেখা শুরু হলো, ড্রেনের পাশে কানে হাত দিয়ে বমি করতেছি, ছাত্রীনিবাস থেকে এক মেয়ে ভীতচোখে আমার বমি করা দেখছে।একটু পরে আমাকে এসে বলল,আপনার কি হয়েছে? আমি বললাম,কিছু হয়নি।সে বলল,টেবলেট কিনি আনবো?আমি শক্ত করে বললাম,না। একটু থেমে মেয়েটি আবার বললো, আচ্ছা ভাইয়া আপনি কোন মেসে থাকেন?? এই প্রশ্ন করে আমার দিকে এক বোতল পানি এগিয়ে দিলো।
চোখে মুখে একটু পানি দিয়ে ডিসপেনসারির দিকে এগুলাম। গত কয়েকদিন থেকে শরীরটা খারাপ যাচ্ছে,বমিবমি লাগছে।
আমি কিছু হয়নি একটা ভাব নিয়ে ঘুরছি। জীবনে প্রথম ব্যস্ত রাস্তার পাশে কানে হাতদিয়ে বমি করতে দেখেছিলাম আশিক কে।৷ তার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে একদিন শাপলা চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে দেখলাম মাথা নিচু করে হেটে যাচ্ছে আশিক।
যাদের সাথে একবেলা চায়ের আড্ডা ছাড়া দিন চলতো না, তাদের আজ অনেকেই বিসিএস ক্যাডার, সরকারি আমলা, ব্যংকার, কেউ কেউ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বড় কর্মকর্তা। ইয়ার ড্রপ দেওয়ার কারণে আমার আগেই তাদের গ্রাজুয়েশন হয়ে গেছে। যতদুর জানি, আমার সাথে চুইংগাম এর মত লেগে থাকা সবুজ সম্ভবত গত বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডার পেয়েছে। মধ্যরাতে সাইকেল নিয়ে সশহরের অলিগলি আর রেডিয়াল লাইট গুলো থেকে অনেক দুরের গ্রামগুলোর দিকে ঘুরতে যেত আমাকে নিয়ে। অথচ সময়ের প্রয়োজনে আজ যোগাযোগটাও নাই।

টাকাওয়ালা হিসেবে বেশ নামডাক হয়েছে আশিকের। রেন্ট কার সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা নাকি ভালোই জমিয়েছে। কোন দিন বিয়ের বাড়ির ভাড়া মারে,গাড়ির সামনে শুভবিবাহ লিখে নব দম্পতিকে নিয়ে চলে। অথচো অর্থের অভাবে প্রিয়তমার সাথে সংসার বাধা সম্ভব হয়নি। বিয়ে করেছে গত ছয় মাস আগে। কিন্তু পুরাতন সৃতিগুলো এখনো ভুলতে পারেনি। প্রায় প্রায় ঝিম মেরে বসে থাকে হাতের জ্বলন্ত সিগারেট ফুরিয়ে যায়!
গত কয়েকমাস থেকে একটা ছোটখাট চাকুরীর চেষ্টা করছি। চুপচাপ রোজ রোজ ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বের হয়ে পড়ি জীবনের সন্ধানে। এই পৃথিবীর প্রতিটি নগরীতে হাজার রকমের কষ্ট নিয়ে,হাজার রকমের মানুষ রোজ সকালে ব্রেকফাস্ট করে বের হয়।এদের চোখ আলাদা! মুখ আলাদা! ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা,শুধু এদের কষ্টের অনুভূতিগুলো একই। হয়তো কেউ কারোটা বুঝতে পারে না।

Tuesday, October 9, 2018

"বিচ্ছেদ "

"বিচ্ছেদ "


উৎসর্গঃ "শশী"কে                  

                              ___মোঃরুহুলআমিন 
























তোমারো কি কিছু কথা বলার ছিলো?? জীবনের কিছু নীলব্যর্থতায়! ক্লিনিকের সাদা দেয়াল,ছিমছাম কেবিন, সাদা বেডশীট ছোপ ছোপ রক্তে আর ব্লিচিং পাউডারের গন্ধে কি কিছু বলার ছিলো?? স্যালাইন এর প্রতি ফোটায় ফোটায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি, যেখানে মৃত্যু উকি দিবে ক্ষনিক বাদে। তোমারো কি কিছু কথা ছিলো কিংবা কিছু লালিতবেদনা?
আমার কিছু কথা ছিলো কিছু দুঃখ ছিলো, আমার কিছু তুমিকে রেখে গেলাম তোমার কাছে। সৃতির নিগূঢ় রহস্য উন্মোচনে ব্যাস্ত থেকো ক্ষনিকের পৃথিবীতে।এমন কিছু একটা ঘটবে তা জানতাম কিন্তু এত তাড়াতাড়ি, যা কল্পনাতীত। মেঘের দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে বৃষ্টি মতো নামহীন নিঃশব্দে ঝড়ে পড়লাম। নাহয় ভুলেই যাবো নিদ্রাহীন কয়েক রাতের কথা।। হয়ত, সম্ভব হবে না আর তোমার সাথে দেখা করার ..... সম্ভব হবে না,শেষ বিকেল এ হাটতে হাটতে স্টেশন এ যাওয়া কিংবা ফুটপাতের দোকানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া। একটিবার ভেবে দেখিও যে, একদিন কথাচ্ছলে কেনো আমার এক জোড়া চোখ তোমার অবিনশ্বর সান্নিধ্যে চেয়েছিলো বারবার....কী এক অমোঘ আলোয় আঁকতে চেয়েছিলো রক্তময় লাল নাশপতি... কোনোদিন দীর্ঘায়িত পর্দার অলৌকিক স্পর্শের পরিপূর্ণ শিহরনে যদি একটি দুঃখের দৃশ্যে ভেশে ওঠে, তবুও আমি তোমাকেই খুজবো। তবুও অর্থহীন পাগলের মতো এক দুর্মর আকাঙ্খায়, শহরের নিস্তব্দ রাস্তায় সারারাত ঘুরে ঘুরে তোমাকেই খুজবো। এবং সমস্ত নারীর প্রেম-পাপের সাক্ষী হয়ে থাকবে একটি রাত , ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন আলো, কিছু নিশাচর প্রাণী আর মহাকাল....... কিছু কান্না, কিছু অভিমান,কিছু মেঘ তখন ভিড় করবে আমার আকাশে আর তুমি তোমার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রাত্রি যাপনে ব্যাস্ত থাকবে মেঘের দেশে। বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার মতো যথেষ্ট সাহস নেই বলেই হয়তো একটু একটু করে সবার কাছ থেকে দুরে সরে যাচ্ছি। নিজের পৃথিবীটা ভেঙ্গে আলাদাভাবে শুরু করেছি, যাতে তোমারটা ঠিক থাকে।অন্তত যে অবস্থানের মাঝ দিয়ে আমি যাচ্ছি সেটা যেন কখোনো তোমার কাছে ঘেষতে না পারে। আমি না হয় আধারেই পরে থাকি কিন্তু তুমি তোমরা ভালো থাক...কিছু সয়ে যেতে হয়, কিছু আপনাতেই সয়ে যায়। সব কিছু নিয়েই জীবন..!!
মৃত্যু কি সহজ, কি নিঃশব্দে আসে অথচ মানুষ চিরকালই জীবন নিয়ে গর্ব করে যায়।"

অভিমান(পার্ট ১)




অভিমান(পার্ট ১)

উৎসর্গঃ চিরচেনা শশীকে



জানালার এপাশে বসে থাকা আমি হাজার হাজার অনুভুতির মাঝে আজ নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম। এতটা অপরাধী নিজেকে কখনোই মনে হয়নি। আগে কিছু হলেই নেশায় বুদ হয়ে থাকতাম আর ঘুমের ঐ সাদা ট্যাবলেট গুলার সাথে ছিল গভীর সম্পর্ক। ভয় করতাম খুবই এই বুঝি তোমাকে হারিয়ে
ফেললাম.....
হ্যা, আজ তাই হল। নিজ হাতে খুন করেছি তোমাকে।আজ একটা জ্যান্ত লাশ অনাহারে অর্ধহারে ঘুরেফিরে হঠাৎ হঠাৎ আমকে মিস করবে।
সত্যি তোমাকে মুল্যায়ন করতে পারিনি, মুল্যায়ন করতে পারিনি তোমার ভালোবাসাকে। আজ কল্পনা করলে সত্যি অবাক হই। যেই আমি মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে জড়তায় গুটিশুটি হয়ে যেতাম। সেই আমাকে যেই মানুষটা কথা বলতে শিখিয়েছে, সেই তাকেই অকথ্য ভাষায় গালি দিতে দ্বিধা করিনি। তবুও দিনের পর দিন নীরবে ভালোবেসে গেছে।
রাত হলেই রুটিন মাফিক একটা ফোনকল আসতো। সময়মতো যেনো খেয়েনি, রাতে যেনো আর বেশি সিগারেট না খাই। রাত দুইটার মধ্যে যেন ঘুমায় পরি। তখন বুজতে পারিনি, আজ যখন বুঝতে পারলাম ঠিক তখন তুমি অনেক অনেক দূরে। প্রকৃতি আজ অনেক অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে আমাদের।
অনেক কিছুই বলা হয়নি তোমাকে। আমার একোরিয়ামে একটা মা গাপ্পি মাছ পাচটা বাচ্চা দিয়েছে। আত তোমার দেওয়া ঝিনুক গুলো একোরিয়ামেই রেখে দিছি। আর এল্যোভেরার চারাটা বেশ তরতর করে বড় হচ্ছে। তোমার সাথে যোগাযোগ থাকলে একটা এল্যোভেরার পাতা দিয়ে বলতাম, চুলে দিও।
গত সপ্তাহে আয়নাটা হাত থেকে পরে ভেংগে গেছে। কেনা হয়ে ওঠেনি আর। আগেতো চুল আচড়ালে এলোমেলো করে দিতে, তাই এখন এলোমেলো করেই বের হই। টাকা জমানোর যেই বক্সটা দিয়েছ, ওটায় নিয়ম করে বিশ টাকা করে জমা করি।
আরো অনেক কিছু বলার ছিলো........... যা শুনলে তোমার খারাপ লাগবে। সামনের মাসে ঢাকা যাব। একটা সার্জারী করানোর জন্য। সেদিন তোমাকে মিথ্যা বলছিলাম। ডাক্তার আমকে অপারেশন করাতে বলেছিলো। বাসায় এখনো বলিনাই। এলাকার এক বড় ভাই ওসমানী মেডিকেলে পড়ে। মুলত, সেই সব ব্যবস্থা করেছে............

'অপেক্ষা'





   'অপেক্ষা'




উৎসর্গঃ "শশী"কে

____________মোঃরুহুলআমিন
আমি থাকব তোমার অপেক্ষায়--------
যেখানে আছি আমি তোমার অপেক্ষায়
প্রকৃতিরর আদল অঙ্গে মেখে,,,,,
তোমার জন্য অতি সাধারণ সাজ-সজ্জায় 
এই গোধূলি বেলায় 
--আসবে কি তুমি এই অবেলায়???? 
আমি থাকব কিন্ত তোমার অপেক্ষায় 

Tuesday, May 8, 2018

Love poem

তোমার চোখে জল কেন? ভালবেসেছি বলে। তোমার চোখে নেই? শুকিয়ে গেছে। তারপর, কি করলে এতদিন? কাঁদলাম। তুমি? লেখালেখি। কবিতা? কই শুনাও। শুনবে? তবে বলি- 'আমি যেন আর আমি নেই, ভোর হয় আগের মতই শুধু আমি জেগে থাকি' কেন? তোমাকে না কতবার রাত জাগতে বারণ করেছি। অমাবশ্যার খেয়ালি চাঁদ, আমাকে জাগিয়ে রাখে সারারাত। তোমাকে ও কি তাই? জানিনা, তবে, আমি হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে তুমি ও কি তাই? আমি বিলীন হয়ে গেছি। কবে? বুঝতে পারিনি, শুধু বুঝেছে আমার ঘুমহীন দু'চোখ, আর জেগে থাকা ঐ পাখিটা, সাথিহারা বেদনায় যে ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে উঠে। তাই? আমার সময় কাটে অস্থিরতায়। কেন? বুকের প্রতিটি স্পন্দন, ভালবাসি ভালবাসি বলে চেঁচায়। তোমার ও কি তাই? আমি মরি নিদারুণ ঘোরে, মনের অজান্তে ভালবেসেছি যারে, হৃদয় পুড়ে প্রত্যহ তার তরে। ভালবেসেছ তবে, জানতে পেরেছ কবে? আমি জানিনে, শুধু জানে আমার শুকিয়ে যাওয়া হৃদয়, যেখানে ক্ষণে ক্ষণে আর্তি বেরোয়। রহস্যময় স্বভাব তোমার, একি তবে সত্য, নাকি ভেবে নেব এও তোমার নিছক খেলা? আমার বলার নেই কিছুই, শুধু বলব, জোনাকী'দের কাছে জেনে নিও প্রতিটি সন্ধ্যেবেলা

সুখ, ভালোবাসা, আদর

জীবনকে সঠিক পথে চলতে কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইল ----------------------- ১. ঘুম থেকে উঠে নামাজ ও স্রষ্টার প্রতি আপনার আজকের প্রার্থনা করে নিন। ...